দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ জুন: ভগিনীপতির চিকিৎসা করাতে যাচ্ছিলেন ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্যে। বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা-তে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এক মুহূর্তে ওলটপালট হয়ে গেল সবকিছু! বুকে অসহ্য কষ্ট-যন্ত্রণা নিয়ে থেকে গেলেন ক্যান্সার আক্রান্ত ভগিনীপতি; চলে গেলেন শ্যালক। পেশায় ICT প্রজেক্টের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক প্রশান্ত সরকার শুক্রবার সন্ধ্যায় শতাব্দীর অন্যতম ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার সন্ধিপুর সংলগ্ন বাহারবনির বাসিন্দা প্রশান্তই ছিলেন পরিবারের মেরুদন্ড স্বরূপ! চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকতা থেকে সামান্য মাসিক বেতন এবং চাষবাস করে স্ত্রী, বাবা-মা এবং পাঁচ বছরের মেয়ে-কে নিয়ে কোনমতে চালিয়ে নিচ্ছিলেন সংসার। বছর ৩৩’র যুবক তথা মালবান্দী আশুতোষ বিদ্যামন্দিরের ICT কম্পিউটার শিক্ষক প্রশান্ত আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবদের বিপদেও পাশে থাকতেন। তরতাজা সেই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা এলাকা। মানবিকতার বার্তা দিয়ে অসহায় এই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন শাসকদলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা।

thebengalpost.net
অসহায় পরিবারের পাশে জেলা তৃণমূল:

শোকে মুহ্যমান এই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সোমবার সাক্ষাৎ করেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সহ অন্যান্যরা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অসহায় পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। সোমবার দুপুরে প্রশান্তর বাড়িতে গিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে, শোকস্তব্ধ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার সঙ্গে ছিলেন ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ এবং অঞ্চল সভাপতি সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। উল্লেখ্য যে, প্রশান্তর স্ত্রী শুভ্রা সরকার এম.এ পাস এবং বি.এড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন। পরিবারের তরফে তাই শুভ্রার জন্য একটি কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় জেলা তৃণমূলের সভাপতির কাছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। তিনি জানান, “আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা প্রিয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা তৃণমূলের তরফে আমরা যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওঁরা একটি আবেদন করেছেন, আমরা সেই বিষয়টিও বিবেচনা করছি।”

thebengalpost.net
প্রশান্ত সরকার: