দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জুলাই: বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে (১১ই নভেম্বর,২০২০) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছিলেন, প্রাথমিকে ২০১৪ সালের টেট পাস প্রশিক্ষিত চাকুরী প্রার্থীর মধ্য থেকে ১৬ হাজার ৫০০ জনকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নিয়োগ করা হবে এবং বাকি প্রার্থীদেরও ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পেয়ে, কুড়ি হাজার প্রশিক্ষিত টেটপাস চাকুরিপ্রার্থী ও তাঁদের পরিবার আশার আলো দেখেন। কিন্তু, প্রথম দফায় ১৫ হাজার ২৮৪ জনের নিয়োগ সম্পন্ন হলেও, এখনও নিয়োগ পাননি কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের “নট ইনক্লুটেড” তালিকায় রাখা হয়েছে। এবার তাঁরা চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর ও নদীয়া জেলার ডি পি এস সি (সংসদ অফিস) এর সামনে জড়ো হয়ে চাকরিপ্রার্থী’রা মুখ্যমন্ত্রী’র কাছে “স্বেচ্ছা-মৃত্যু”র আবেদন জানিয়েছেন। চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে “নট ইনক্লুড” প্রার্থী অদ্বৈত রানা বলেন, “সময়মতো ইন্টারভিউ হয়ে রেজাল্ট বেরোয়। কিন্তু, সাত আট মাস কেটে গেলেও বর্তমানে অধিকাংশ প্রার্থী নট ইনক্লুড তালিকায় আছেন। চাকুরী প্রার্থীরা চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।”

thebengalpost.in
আন্দোলন চাকরিপ্রার্থীদের :

প্রসঙ্গত, “২০১৪ প্রাইমারি টেট পাস প্রশিক্ষিত নট ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেটস একতা মঞ্চের” পক্ষ থেকে গত ৩ জুলাই, শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে “গন টুইট কর্মসূচি” পালন করা হয়। এই কর্মসূচিতে মঞ্চের প্রায় আট হাজার প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। মঞ্চের সভাপতি অচিন্ত্য ধাড়ার বক্তব্য অনুযায়ী, “আমরা ২০১৪ সাল থেকে টেট পাস করে বসে আছি। আমরা কেউ বি.এড কেউ ডি.এল.এড টিচার্স ট্রেনিং কমপ্লিট করেছি। কিন্তু, দীর্ঘ সাত বছর কেটে গেলেও সরকার এখনো আমাদের নিয়োগ দেয়নি। চাকুরি পাবার সব রকম যোগ্যতা থাকা সত্বেও আমরা বঞ্চিত। আমাদের চাকরির বয়সের সময়সীমা শেষের দিকে।” একইভাবে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন, কয়কেশো চাকরিপ্রার্থী। টেট পাস ও প্রশিক্ষিত এই প্রার্থীরা পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী, অফলাইনে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাদের এখনও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরকম কয়েকশো চাকরি প্রার্থীদের তরফে চিরঞ্জিত ভৌমিক জানিয়েছেন, “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কথা দিলেও এখনও আমাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। অথচ, এখনও প্রায় ১৫০০-২০০০ শূন্যপদ আছে।”