দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ অক্টোবর: উৎসবে কিংবা বিপদে, অনয় মানেই মানুষের পাশে! তা সে অতিমারী, অতিবৃষ্টিই হোক কিংবা বিশেষভাবে সক্ষম কোনও মানুষের হুইল চেয়ার প্রয়োজন হোক! আবার, গণেশ চতুর্থী থেকে দুর্গাপুজো- উৎসবের দিনগুলিতেও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সর্বদা উদগ্রীব শহর মেদিনীপুরের সমাজসেবী অনয় মাইতি। প্রতি বছর নিজের জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার সাথে সাথেই বিশেষভাবে সক্ষম মানুষজনদের ট্রাই সাইকেল বা হুইল চেয়ার প্রদানও করেন অনয়। স্ত্রী, সন্তানদেরও মানুষের পাশে থাকার শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। তাই, পুজোর আগে স্ত্রী স্মৃতিকণা মাইতি’র জন্মদিনে মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছেন নতুন বস্ত্র।

thebengalpost.net
শিবমের জন্মদিন পালন কচিকাঁচাদের সঙ্গে:

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ছিল ছেলে শিবমের ২২তম জন্মদিন। মহা পঞ্চমীর মাহেন্দ্রযোগে ছেলের জন্মদিনেও মানবতার বার্তা দিয়ে অনয় ছুটে গিয়েছিলেন জঙ্গলমহল গড়বেতার ধাদিকা এলাকায়। উদ্দেশ্য একঝাঁক দুঃস্থ শিশুর মুখে হাসি ফোটানো। কেক কেটে ছেলের জন্মদিন পালনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ৫০-৬০ জন কচিকাঁচার হাতে তুলে দেওয়া হয় পুজোর উপহার স্বরূপ নতুন জামাকাপড়। ধাদিকা যুব গোষ্ঠীর দুর্গাপুজো মন্ডপ প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। ছেলে শিবম ছাড়াও অনয়ের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, মেয়ে এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবেরা। ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষক তথা গড়বেতার জেলা পরিষদের সদস্য শান্তনু দে সহ সহৃদয় একাধিক ব্যক্তি। অনয় বলেন, “দেখুন, আমার এবং আমার পরিবারের কাছে উৎসব মানেই মানুষের জন্য কিছু করা, মানুষের পাশে থাকা। সেজন্যই আমার নিজের জন্মদিনে রক্তদান উৎসবের আয়োজন করে থাকি। পুজোর আগে স্ত্রী-র জন্মদিনে বৃদ্ধাশ্রমের অসহায় বাব-মা’দের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। মঙ্গলবার, ছেলের জন্মদিনেও কিছু অসহায় পরিবারের ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছি! এভাবেই বাকি জীবনটাও মানুষের পাশে থেকেই কাটিয়ে দিতে চাই।”

thebengalpost.net
স্ত্রী-র জন্মদিন পালন বৃদ্ধাশ্রমে: