দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৯ জুন:বাংলা থেকে পুনরায় মন্ত্রী হচ্ছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তৃতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদারও। দু’জনকেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হবে বলে জানিয়েছেন খোদ সুকান্ত-ই। তিনি বলেছেন, “আমি মন্ত্রী হচ্ছি। এই প্রথম আমার জেলা (দক্ষিণ দিনাজপুর) থেকে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা বাস্তবায়িত করতে কাজ করব। শান্তনু ঠাকুরও মন্ত্রী হচ্ছেন। আমরা দু’জনই প্রতিমন্ত্রী (MOS) হচ্ছি।” দিল্লির ডাক পেলেও, এই দফায় তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্ত্রী হচ্ছেন না বলেই জানা গেছে।
এদিকে, বিজেপি-র সংবিধান অনুসারে, কোনও ব্যক্তি একসঙ্গে ২-টি পদে থাকতে পারেন না। ফলে সুকান্তবাবু মন্ত্রী হলে তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদে ইস্তফা দিতেই হবে। ফলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রদবদল এখন সময়ের অপেক্ষা! প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি পদে বসেন সুকান্ত বাবু। তাঁর তিন বছরের কার্যকাল শেষ হচ্ছে জুনেই। এর মধ্যে রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে চা চক্রে দেখা যায় সুকান্ত বাবুকে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। এদিকে, সুকান্ত মজুমদারের জায়গায় রাজ্য বিজেপি-র নতুন সভাপতি কে হতে চলেছেন, তা নিয়েই ছড়িয়েছে জল্পনা। রবিবার দিল্লির ডাকে উড়ে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ দু’জনই। রাজ্য সভাপতির দৌড়ে তাঁরা দু’জনই আছেন বলে জানা গেছে। শুভেন্দু-কে রাজ্য সভাপতি করা হলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হতে পারেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যদিও, বিভিন্ন মহলে জল্পনা দিলীপ ঘোষকেও রাজ্য সভাপতি হিসেবে ফেরানো হতে পারে! এদিকে, মনোজ টিগ্গা বিধায়ক থেকে সাংসদ হয়েছেন। তাই, বিধানসভার মুখ্য সচেতক পদেও রদবদল শুধু সময়ের অপেক্ষা। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ওই পদ পেতে পারেন। ইন্দ্রনীল খাঁয়ের পরিবর্তে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে ABVP-র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার (RSS ঘনিষ্ঠ) অথবা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কে।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে দিলীপ ঘোষ যেভাবে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিলেন, শনিবার সন্ধ্যায় নাম না করে তার জবাব দিয়েছেন রিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেছেন, “অনেকে জ্ঞান দিচ্ছেন, ফেসবুকে বড় বড় কথা লিখছেন। তাঁদের জেনে রাখা উচিত ২০১৯ সালে তৃণমূলের আই-প্যাক ছিলোনা, লক্ষ্মীর ভান্ডারও ছিলোনা! আর, পুলিশও এতখানি ক্যাডারবৃত্তি করেননি! ২০২৪ সালে এত বিরোধিতা, লড়াইয়ের মধ্যেও আমরা রাজ্যের ২ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। এটা কম কথা নয়!”