দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ নভেম্বর: আর স্পেশাল ট্রেন নয়। পুরানো টাইম টেবিলে ফিরতে চলেছে রেল। খুব তাড়াতাড়ি সব স্পেশাল ট্রেনই বন্ধ করে দেবে রেল। ইতিমধ্যে অবশ্য অনেক স্পেশাল ট্রেনই বন্ধ হয়ে গেছে। বদলে, পুরনো নিয়মে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চালাবে রেল। অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত স্পেশাল ট্রেনের জন্য যে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে, তা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। রেলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী অশ্বীন বৈষ্ণো। কবে থেকে সব ট্রেন পুরানো নিয়মে চলবে তা স্পষ্ট করে না জানালেও, অশ্বীন জানিয়েছেন, শীঘ্রই দফায় দফায় বাকি থাকা স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই দূরপাল্লার ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ‘স্পেশাল’ ট্রেন চালানো শুরু করে রেল। এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায়, রেলও পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত খড়্গপুর ও আদ্রা ডিভিশনের মধ্যে চলাচলকারী সমস্ত লোকাল ট্রেন চালু না করা, লোকাল ট্রেনকে প্যাসেঞ্জার ট্রেন নাম দিয়ে টিকিটের দাম তিনগুন বাড়ানো এবং ১৬ টি যাত্রীবাহী ট্রেন পুরোপুরি বাতিল করার বিরুদ্ধে শুক্রবার মিছিল, বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনে সামিল হয় বাম যুব সংগঠন (DYFI)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোডের স্টেশন ম্যানেজারের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারকলিপি। সংগঠনের বক্তব্য, ১৬ টি ট্রেন বাতিল করে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এমন চারটি জঙ্গলমহল এলাকার জেলার মানুষের সাথে প্রতারনা সহ বঞ্চনা করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। অপরদিকে, গত লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিলো জঙ্গলমহল এলাকায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো সহ রেলের সম্প্রসারনের। আর বিজেপি সরকারের রেল মন্ত্রী থাকাকালীন এখনকার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লালগড়কে রেলের সাথে যুক্ত করার। এখন রেল সম্প্রসারণ তো দূরের কথা, চালু ট্রেনই বন্ধ করা হয়েছে! আবার লোকাল ট্রেনের গায়ে প্যাসেঞ্জার লিখে টিকিটের দাম তিনগুন বাড়ানো হয়েছে। এনিয়ে কেন্দ্র সরকারের কোন হেলদোল নেই। রাজ্য সরকারও নীরব। তাই, এনিয়ে লাগাতার আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সুমিত অধিকারী ও শুভদীপ সেন এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।