দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জুন: ফের সেই পিংলা! মাসতিনেক আগে কলেজ পড়ুয়া কিশোরী ভাস্বতী জানা (নাম পরিবর্তিত)’র খুন ও ধর্ষণের ঘটনার দগদগে ঘা এখনও শুকোয়নি। এর মধ্যেই, ফের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো পাশের গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল সেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, পিংলার ৪ নং কড়কাই অঞ্চলের কালিকাকুন্ড গ্রামের শ্রীমন্ত দাস (বয়স আনুমানিক ২১-২২) নামে এক যুবক কিলোমিটার পাঁচেক দূরে মালিগ্রাম সংলগ্ন গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে! রবিবার মধ্যরাতে (রাত্রি ১২ টা- সাড়ে ১২ টা নাগাদ, হিসেব অনুযায়ী সোমবার) ওই কিশোরীর বাড়ি গিয়ে ওই যুবক কিশোরী’র সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে! কিশোরীর বাড়িতে সেই সময় তার বাবখ-মা বা অভিভাবক না থাকার সুযোগ নিয়েই ওই যুবক এই কান্ড ঘটায়। কিশোরীর অভিযোগ অনুযায়ী তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই নিজের এক দাদার সাহায্যে পুলিশকে ও বাবা-মা’কে সব জানায় কিশোরী। রাতেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পিংলা থানার পুলিশ! সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

thebengalpost.in
পিংলা থানা (প্রতীকী ছবি) :

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পিংলার মালিগ্রাম সংলগ্ন এলাকার ওই কিশোরীর বাবা ফুলের চাষ করেন। অভিযুক্ত যুবক শ্রীমন্ত তাদের বাড়ি থেকে ফুল কিনে নিয়ে গিয়ে পাইকারি বাজারে বিক্রি করার কাজ করতো। সেই সূত্রে বেশ কয়েকবছরের সম্পর্ক। ঘটনাচক্রে, রবিবার ওই কিশোরীর বাবা ও মা এক আত্মীয় বাড়িতে যান। বাড়িতে ওই কিশোরী ও তার নাবালক ভাই ছিলো। এই সবই জানতো ওই যুবক। এরপর, ওই রাতেই যুবক নিজের বাইকে করে ৫ কিলোমিটার দূরে মালিগ্রামে পৌঁছে যায়। ঘড়িতে তখন ১২ টা – সাড়ে ১২ টা বাজবে। এরপর ওই কিশোরীকে দরজা খুলতে বলে সে। পরিচিত হওয়ার সূত্রে দরজা খুলে দেয় কিশোরী। তারপরই সে এই কান্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। কিশোরীর অভিযোগের সূত্র ধরে যুবককে রাতেই তার গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ এবং ওই রাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চাইলে, আদলত ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে। জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকেই ফুল তোলা হতো বলে, ওই যুবক রাত্রি ৮-৯ টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে আসতো। তাই কিশোরীর সন্দেহ হয়নি! যদিও, এক সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক কিশোরী’কে পছন্দ করতো, তবে ওই কিশোরী এইসবকে গুরুত্ব দিতোনা! কিন্তু, সে যে এই কান্ড ঘটাবে তা কেউই বুঝতে পারেননি! ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।‌ যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন পিংলাবাসী।