দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৭ অক্টোবর: মাছ-ই যেন মহারাজা করে দিল পূর্ব মেদিনীপুরের চঞ্চল মালিক’কে! দীঘা মোহনায় ৩৩ টি পূর্ণবয়স্ক তেলিয়া ভোলা মাছ ওঠে চঞ্চলের ট্রলারে। যার প্রতিটি’র দাম ওঠে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা করে। ৩৩ টি মাছের দাম ওঠে প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি! আর, এই মাছ ঘিরে উৎসাহের অন্ত নেই স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকদের মধ্যে। অতিমারী আবহে ‘রত্নাকর’ সমুদ্রের সৌজন্যে প্রায় কোটি টাকার মালিক হয়ে, চওড়া হাসি চঞ্চলের মুখেও! উল্লেখ্য যে, এই মাছ ওষুধ তৈরির কাজে লাগে বলেই এর এত দাম। ওষুধ তৈরির জন্য বিদেশের বাজারে তেলিয়া ভোলার শরীরের নানা অংশের কদর আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। প্রতি কেজি পূর্ণবয়স্ক মাছের দাম প্রায় ১২-১৩ হাজার টাকা!
জানা গেছে, ‘মা বাসন্তী’ নামে একটি ট্রলার রয়েছে চঞ্চলের। সম্প্রতি, মাছ ধরে তীরে ফেরে ওই ট্রলারটি। ট্রলারে ৩৩ টি পূর্ণবয়স্ক তেলিয়া ভোলা মাছ ছিল। মঙ্গলবার তা বিক্রি হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকায়। দীঘা মোহনার আড়তদার শ্যামসুন্দর দাসের আড়তে ওঠে ওই মাছ। তিনি বলেন, “একসঙ্গে এতগুলি একই ধরনের পূর্ণবয়স্ক মাছ জালে পড়ার ঘটনা বেনজির। ৩৩টি তেলিয়া-ভোলা মাছের মোট ওজন ছিল প্রায় ৭৬৮ কেজি। মাছগুলি নিলামে কেজি প্রতি প্রায় ১২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে দাম উঠেছে প্রায় ৯৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা।” ওই মাছ দেখতে আড়তে ভিড় জমে যায়। উল্লেখ্য, দিন চারেক আগেই সুন্দরবনের খাঁড়ি থেকে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছিল দৈত্যাকৃতি একটি তেলিয়া ভোলা মাছ। দৈত্যাকৃতি সেই মাছটির দাম ওঠে সাড়ে ৩৭ লক্ষ টাকা! মাছটির ওজন ছিল প্রায় সাড়ে ৭৮ কেজি। এত বড় মাপের তেলিয়া ভোলা মাছ আগে দেখেননি বলে দাবি করেছিলেন ক্যানিংয়ের আড়তদারেরা।