দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ অক্টোবর: আগামীকালই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। এদিকে, টানা দু’তিনদিনের বৃষ্টিতে নাজেহাল উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ! সবথেকে সমস্যায় পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এখনও বেশিরভাগ প্রতিমা’র রং শুকোয়নি, বাকি চক্ষুদান! অন্যদিকে, আজ থেকেই বাড়িতে বা মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার তাড়া। কয়েকঘণ্টার মধ্যে কিভাবে সম্পূর্ণ করবেন, প্রতিমা গড়ার কাজ? ভেবে পাচ্ছেন না শিল্পীরা। দীঘা উপকূল সংলগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা-কেশিয়াড়ি এলাকাগুলিতে এখনও চলছে বৃষ্টি। আগামীকালও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে প্রতিমা’র কাজ সম্পূর্ণ করা তাঁদের পক্ষে যে একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন প্রতিমা শিল্পী কালীপদ আচার্য। মঙ্গলবার তিনি বললেন, “যেখানে দাঁড়িয়ে মূর্তি গড়ছি, সেখানেও জল দাঁড়িয়ে গেছে। প্রতিমা’র দেহের রং এখনও শুকোয়নি। মায়ের চোখ এখনও আঁকা হয়নি! একপ্রকার অসহায় অবস্থায় আছি। এদিকে, আজ থেকেই প্রতিমা নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। অনেক প্রতিমাই সম্পূর্ণ করার কাজ বাকি আছে!”
অন্যদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেলদা-কেশিয়াড়ি সংলগ্ন কুকাই ব্যবসায়ী সমিতির ৫০ বছরের পুজোর আয়োজনে কাটছাঁট করতে হচ্ছে! আয়োজকদের পক্ষ থেকে মুক্তিপদ দাস জানালেন, “অতিমারীর প্রকোপ কিছুটা কমেছিল। ভেবেছিলাম ৫০ বছরের পুজো বেশ সাড়ম্বরে করব। কিন্তু, বাধ সাধল প্রকৃতি। এখনও মণ্ডপে আনা হয়নি প্রতিমা! কোনও আয়োজনই করে উঠতে পারিনি!” সবমিলিয়ে, অতিমারীর পর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বিরূপ মা লক্ষ্মী! দুঃশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ।