দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৩১ মার্চ:”মানিক ভট্টাচার্যের ফেলে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না!” শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল সকাল ভরা এজলাসে উপস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল-কে ঠিক এভাবেই হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই, পর্ষদ সভাপতি বলেন, “ঠিক আছে ধর্মাবতার।” এরপরই, আগামী ৩০ এপ্রিল (২০২৩) এর মধ্যে ২০১৪ প্রাথমিক টেট (Primary TET 2014) পাস সহ ২০১৭ ও ২০২৩ সালের সকল টেট পাস চাকরিপ্রার্থীদের হাতে টেট সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র (TET Certificate) তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

thebengalpost.net
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (ফাইল ছবি):

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাথমিকের একটি পুরানো মামলার শুনানি ছিল গতকাল। সেই মামলাতেই আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তলব করেছিলেন পর্ষদ সভাপতিকে। নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুক্রবার সকালে আদালতে হাজির হতে হবে তাঁকে। সেই মতো তিনি হাজির হয়েছিলেন আদালত কক্ষে। টেট সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, “এখনও কেন সার্টিফিকেট দেননি?” প্রত্যুত্তরে পর্ষদ সভাপতি জানান, পর্ষদের কিছু আর্থিক সমস্যা থাকায় এখনও দেওয়া হয়নি! এরপরই, ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, “আমি কোনো নির্দেশ দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সময় অর্থের সমস্যা হয়না? ৩০ লক্ষ টাকার আইনজীবীকে দিয়ে মামলা লড়ানোর সময় অর্থের অভাব হয়না? আর, চাকরিপ্রার্থীদের টেট সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় অর্থের অভাব!” তাঁর সংযোজন ছিল, “মানিক ভট্টাচার্যের ফেলে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না!” তারপরই, পর্ষদ সভাপতি আদালত কক্ষে কাঁচুমাচু মুখে জানান, “আচ্ছা ধর্মাবতার। এপ্রিল মাসের মধ্যেই (৩০ এপ্রিলের মধ্যে) টেট সার্টিফিকেট দিয়ে দেব।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, গত কয়েকমাস আগে এই মামলাতে ২০১৪ টেট পাস চাকরিপ্রার্থীদের ‘টেট সার্টিফিকেট’ (বৈধতা- সারা জীবন বা চাকরিতে আবেদনের বয়স যতদিন থাকবে) প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই মতো সকল টেট পাস (২০১৪, ২০১৭ ও ২০২৩ টেট পাস) চাকরিপ্রার্থীরাই পর্ষদের ওয়েবসাইটে আবেদন করেন। এবার সার্টিফিকেট পাওয়ার পালা!