দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ আগস্ট: “ঘরের লক্ষ্মী”দের পাশে পশ্চিম মেদিনীপুরের “কন্যাশ্রী”রা! গর্বিত কন্ঠে তারা এও জানিয়ে দিল, “আমরা কন্যাশ্রীরা দুয়ারে সরকারের শিবিরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। অনেক মা-কাকিমা-জেঠিমারাই সঠিকভাবে ফর্ম ফিলাপ করতে পারেন না! তাঁদের উদ্দেশ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে।” দুয়ারে সরকার শিবিরে আসা মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ফর্মপূরণ করে দিচ্ছে রাজ্য সরকারের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের উপভোগী স্কুল-ছাত্রীরা। আর, ভিড়ে ঠাসা শিবিরে আগত গৃহলক্ষ্মীরা এতে যারপরনাই খুশি!
প্রসঙ্গত, একদিকে যখন সরকারি এই কর্মসূচিতে ‘লক্ষ্মী ভান্ডারে’র ফর্ম বিলি ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের বহু নেতৃত্ব বিতর্কের মুখে, তখনই পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ‘কন্যাশ্রী’দের ফর্মপূরণ প্রশংসা কুড়োচ্ছে। শুক্রবার নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা ২ পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবির বসেছে বেলদা গঙ্গাধর একাডেমিতে। শিবিরে দেখা গিয়েছে, স্কুল ইউনিফর্ম এবং মাস্ক পরে আগত মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র ফর্মপূরণ করছে শিউলি, সুচরিতা-রা। অনেকেই তাদের কাছে ফর্মপূরণ করানোর জন্য লাইন দিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের ‘কন্যাশ্রী’দের শিবিরে এসে ফর্মপূরণ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রথমে খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত হলেও এলাকার মা-কাকিমা-জেঠিমাদের ফর্মপূরণে সাহায্য করতে হবে শুনে এ দিন শিবিরে এসেছেন ১০ জন ‘কন্যাশ্রী’।” ব্যাগ, জলের বোতল, খাবার নিয়েই বসে পড়ছেন ফর্মপূরণ করতে। তবে, দিনের শুরুতে সরকারি কর্মীরা ‘কন্যাশ্রী’দের ফর্ম পূরণের বিষয়টি শিখিয়ে দেন। পরে, বিডিও কৃশানু রায় নিজে হাজির থেকে পুরো বিষয়টি তদারকি করেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন লোকজন যখন টাকার বিনিময়ে এই কাজ করার প্রস্তাব দিচ্ছেন, তখনই আমরা ভাবি আমাদের কন্যাশ্রীদের কাজে লাগানো যেতে পারে। আর, এখনতো স্কুল-কলেজও ছুটি!” খুশি দ্বাদশ শ্রেণির কন্যাশ্রী শিউলি, সুচরিতা-রাও। তারা বলছে, ”প্রথমেশুনে অস্বস্তি হচ্ছিল। এখন খুব আনন্দ লাগছে। এছাড়া আমারও এখান থেকে আবেদনপত্র পূরণের খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারলাম। সঙ্গে মা-কাকিমা-জেঠিমাদের বুক ভরা আশীর্বাদ বাড়তি পাওনা!”