দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ আগস্ট: “আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে….”! দারিদ্র্য-অভাব-অতিমারী ছাপিয়ে আজকের দিনটা ওদের কাছে সেরকমই একটা দিন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের জঙ্গলঘেরা বাঘমারি-জোড়কুশমা গ্রামের ছোট্ট ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের মুখে তাই আজ আকাশভরা আনন্দের ছোঁয়া! গ্রামের প্রায় একশো শতাংশ অধিবাসীই পিছিয়ে পড়া জনজাতি সম্প্রদায়ের। অশিক্ষা-অভাব-অনটন তাঁদের নিত্যসঙ্গী। অতিমারীর প্রকোপে দিনমজুরি’র জীবিকাতেও পড়েছে টান। এরকম একটি গ্রামকেই তাই শালবনী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (আই.সি) গোপাল বিশ্বাস বেছে নিয়েছিলেন নিজেদের ছেলে আবীরের জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আর, এই মহতী উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল শালবনী কেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ছত্রছায়া’।
সম্প্রতি (২ আগস্ট), তিন পেরিয়ে চারে পা দিয়েছে আই.সি গোপাল বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী কোয়েল বিশ্বাসের ছেলে আবীর। সেই উপলক্ষেই আজ (৭ আগস্ট) বাঘমারি-জোড়কুশমা গ্রামের কচিকাঁচা ও বাসিন্দাদের জন্য কোভিড বিধি মেনে আয়োজন করা হয়েছিল দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার। তার আগে গ্রামের কচিকাঁচাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাস্ক, চকলেট, কেক প্রভৃতি। এই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শালবনী থানার আই. সি গোপাল বাবু, তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টের ইনচার্জ আনন্দ মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন ‘ছত্রছায়া’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় বেশকিছু সমাজকর্মী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অপূর্ব বংশী ধ্বনির মাধ্যমে সকলকে মুগ্ধ করেন স্থানীয় লোকশিল্পী ও ‘ছত্রছায়া’ সংগঠনের সদস্য অরুণ পাল। সংগঠনের পক্ষ থেকে নুতন ঘোষ বলেন, “এর আগেও স্যারের মেয়ের জন্মদিনে আমরা দারিদ্র্য পীড়িত বুড়িশোল গ্রামে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলাম। এবার, পাশের জোড়কুশমা গ্রামটিকে বেঁছে নেওয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণভাবে কোভিড বিধি মেনে আজকের অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।”