দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ২৩ অক্টোবর: গত ১৭ অক্টোবর নাগাদ সিকিম সফরে গিয়েছিলেন মেদিনীপুরের দুই শিক্ষক ও সমাজকর্মী মণিকাঞ্চন রায় এবং নরসিংহ দাস। সঙ্গে ছিলেন দু’জনেরই পরিবার। এদিকে, উত্তরাখণ্ডের সাথে সাথে গত ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর প্রবল বর্ষণের কারণে ধস নামে সিকিমের বিভিন্ন অঞ্চলেও। ধসের কারণে বিভিন্ন পর্যটনস্থল গুলিতে যাওয়ার রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি, তবে নতুন করে ১৮ তারিখের পর সিকিমে ঢোকা এবং বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সেই রাজ্যের প্রশাসন। এর মধ্যেই, ২১ অক্টোবর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করে। গতকাল, শুক্রবার (২২ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টি বন্ধ হয় এবং আকাশের বুক চিরে সোনালী রোদ্দুর দেখা যায়! আজ, শনিবার (২৩ অক্টোবর) সিকিম থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদেই ফিরছেন মণিকাঞ্চন, নরসিংহরা।
এদিকে, ধসে যাওয়া সিকিমের রাস্তাঘাটও সারানোর কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। সিকিম থেকে জানালেন শিক্ষক ও সমাজকর্মী মণিকাঞ্চন রায়। তিনি নিজের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “ঘরে ফেরার পালা! ১৭ তারিখে নর্থ সিকিমের উদ্দেশ্যে গ্যাংটকে আশার পর দু’দিন ভারী বর্ষণে সিকিম আসার পথ বা সিকিম থেকে ফিরে যাওয়ার সবপথ ধসের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়! বহু পর্যটক আটকে পড়েন। বাড়ি ফিরতে পারেননি নির্দিষ্ট সময়ে। আসতে পারেননি অনেকেই! পুজোর পর সিকিম-দার্জিলিং এ পর্যটকের ভিড় থাকে। কিন্তু, কয়েকদিনের বর্ষণে একরকম বিপর্যস্ত পাহাড়। আমরা ছিলাম নর্থ সিকিমে। যদিও প্রথম দু’দিন গ্যাংটকে বর্ষার মধ্যে কাটাতে হয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আমাদের নিকটজনেরা খুবই চিন্তায় ছিলেন। আজকে লাভা পথ দিয়ে জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি আমরা। পথে দেখলাম ধসে ভেঙে পড়া রাস্তাঘাট দ্রুততার সাথে সারাইয়ের কাজ চলছে। অনেকটা স্বাভাবিক হতে চলেছে। ভালো মন্দের মধ্যে কাটলো ক’টা দিন। এই ট্রিপটা সারাজীবন মনে থাকবে অনেক কারণে! আপাতত ঘরে ফেরার অপেক্ষায় আমরা।”
(প্রতিটি ছবি শিক্ষক, পরিবেশবিদ, সমাজকর্মী মণিকাঞ্চন রায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া। তাঁর তোলা আরও কিছু ছবি নীচে দেওয়া হল।)