শনিবার অরবিন্দ স্টেডিয়ামে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক:
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ অক্টোবর: কে নেই তালিকায়! বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক থেকে কাউন্সিলর, শাসকদলের জেলা সভাপতি, রাজ্য সম্পাদক থেকে বিরোধী দলের জেলা সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক। শুধু শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নয়; তালিকায় উজ্জ্বল বিজেপি, কংগ্রেস থেকে সিপিআইএম-ও। আছেন ক্রীড়াবিদ, কোচ, শিক্ষক থেকে শহরের স্বনামধন্য ব্যবসায়ীরাও। সবমিলিয়ে লড়াইয়ের আসর জমজমাট। আর, হবে নাই বা কেন? মেদিনীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার (Midnapore District Sports Association) প্রথম ‘নির্বাচন’ বলে কথা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার (DSA) ২০টি আসনে নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন ৪৩ জন (৫০ জন মনোনয়ন জমা দিলেও পরে ৭ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন)। জেলা ক্রীড়া সংস্থার মোট সদস্য সংখ্যা বা ভোটার ২৭১ জন। দু’টি প্যানেল (গোষ্ঠী বা শিবির বললেও ভুল হয়না!)। আর, এই দুই প্যানেলেই আছে চমক। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-বিভেদ ভুলে জেলাকে (পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম) ‘ক্রীড়াক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যেতে’ মিলেমিশে তাই একাকার হয়ে গেছেন বাম, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলের নেতারাও!
রবিবার (২০ নভেম্বর) জেলা শহর মেদিনীপুরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে সকাল ১১ টা থেকে শুরু হবে নির্বাচন। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোটার ২৭১ জন হলেও সর্বাধিক ২৫০-২৬০ জন ভোট দিতে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। বাকিরা অসুস্থতা, বয়সজনিত অসুবিধা সহ নানা কারণে অনুপস্থিত থাকতে পারেন! একজন ভোটার বা সদস্য সর্বাধিক ২০ জনকে ভোট দিতে পারবেন। সেই হিসেবে একজন প্রার্থী সর্বাধিক ২৫০-২৬০ (বা, ২৭১ ই) টিও ভোট পেতে পারেন। এমনও হতে পারে, ২৩ জন প্রার্থী শুধু নিজের ভোটটিই পেলেন। তবে, মনে করা হচ্ছে মোটামুটিভাবে ১৩০-১৩৫ টি ভোট পেলেই একজন প্রার্থী জয়ী হতে পারেন। সেই হিসেবে দু’টি প্যানেলের ২০ জন জয়ী নাও হতে পারেন। দুই প্যানেল মিলিয়েও ২০ জন নির্বাচিত হতে পারেন। সূত্রের সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তেমনটাই হতে চলেছে। তবে, আরেকটি সূত্র বলছে পাল্লা ভারি একটি প্যানেলের। যদিও, জেলাবাসীর দাবি ২০ জন এমন প্রার্থী নির্বাচিত হন, যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাঠের সঙ্গে বা খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত। এখন একনজরে দেখে নিন দুই প্যানেলে থাকা ৪০ জনের নাম। উল্লেখ্য যে, ৩ জনের নাম (বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক শুভজিৎ রায়,ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দে এবং সুশান্ত পাল) কোনো প্যানেলেই রাখা হয়নি। যদিও জিততে পারেন তাঁরাও!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটি প্যানেলের উল্লেখযোগ্য নামগুলি হল- শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় (প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রীড়া সংগঠক এবং অবশ্যই জেলা কংগ্রেসের অন্যতম নেতা তথা মেদিনীপুর পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান); সুব্রত কুমার পান (বাম ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এই শিক্ষক একজন প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ এবং জেলা তথা রাজ্যের বিশিষ্ট কোচ); উদয় রঞ্জন পাল (বণিক সভার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব, একই সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠক); ইতি বর্মন মজুমদার (বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ এবং বর্তমান কোচ); প্রদ্যোৎ ঘোষ (তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন এই বিধায়ক বর্তমানে রাজ্য সম্পাদক এবং একজন ক্রীড়া সংগঠক); ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী (জাতীয় রেফারি এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরও); দীনেন রায় (তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক, এমকেডিএ চেয়ারম্যান তথা ক্রীড়া সংগঠক); সঞ্জিত তোরই (সদর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক, সিএবি’র প্রাক্তন সদস্য) এবং সুজয় হাজরা (তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক)। অপর একটি প্যানেলের উল্লেখযোগ্য নাম গুলি হল- গৌতম কুমার দেব (প্রাক্তন ফুটবলার ও ফুটবল প্রশিক্ষক); অজিত কুমার কর (বিশিষ্ট প্রাক্তন ফুটবলার ও প্রশিক্ষক); গৌরী শংকর সরকার (প্রাক্তন ফুটবলার ও প্রশিক্ষক); স্বদেশ রঞ্জন পান (অধ্যাপক, প্রাক্তন অ্যাটলিট এবং বর্তমান প্রশিক্ষক); আরিফ আহমেদ (বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক); বিদ্যুৎ কুমার বসু (ক্রীড়া সাংবাদিক); অরূপ দাস (বর্তমানে জেলা বিজেপির সহ সভাপতি ও মুখপাত্র তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার) এবং সর্বোপরি আশিস চক্রবর্তী (প্রাক্তন বিধায়ক এবং বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক)।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মে: "দাদু বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন...!" চোখে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মে: বাবা সবজি বিক্রেতা। মা গৃহবধূ। দারিদ্র্যের সাথে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৮ মে: রাজস্থানের জয়সলমীরে ভারতের হাতে বন্দি হলো এক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ মে: খুব সামান্য কয়েকটা বিষয়ে 'অমিল' থাকলেও, দুই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ মে: মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকাতেও জায়গা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ মে: দিনেদুপুরে শোনা যেত গুলির আওয়াজ। রাস্তায় পড়ে…