দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ১৭ জুন:’আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ আসবো আসবো করেও আসেনি বর্ষা। অবশেষে, দ্বিতীয় দিনেই তার আগমনী গান শোনা গেল দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। আবহবিদদের মতে, একে বর্ষার প্রথম বৃষ্টি বলা যেতে পারে। যদিও, এখনই নাগাড়ে বর্ষণের সম্ভাবনা নেই বলেও দুঃসংবাদ শুনিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গে এবার তুলনামূলক কম বৃষ্টি হবে বলেও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। তবে যাই হোক, আপাতত শুক্রবার দুপুরে, আকাশ কালো মেঘ থেকে অঝোর ধারায় স্বস্তির বৃষ্টি ঝরে পড়েছে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। গত কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর, অনেকখানি আরাম অনুভব করেছেন দক্ষিণবঙ্গবাসী।

অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে সঠিক সময়েই প্রবেশ করেছে বর্ষা। এই মুহূর্তে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে ভীষণভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বর্ষা। ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ চলছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং ও সিকিমের একাধিক জায়গা ধস নেমেছে। বীরপাড়া-ফালাকাটা এবং ফালাকাটা-কোচবিহার ছাড়া বেশিরভাগ রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে টোটোপাড়া। ধসের জেরে গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বেহাল। সেখানে আটকে পড়েছেন প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক। এমনটাই জানা গেছে, বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। অন্যদিকে, তীব্র গরমের পর শুক্রবার দুপুরের বর্ষণে খানিক স্বস্তি দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। এবার অপেক্ষা শুধু বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টির!










