thebengalpost.net
Prof. Suman Chakraborty (Director, IIT Kharagpur):

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২৫ অক্টোবর: আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর তথা বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তীর সাফল্যের মুকুটে যোগ হতে চলেছে নতুন একটি পালক। ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর (IISc Bangalore)-এর তরফে প্রফেসর চক্রবর্তীকে দেওয়া হচ্ছে ‘বিশিষ্ট প্রাক্তন ছাত্র- ২০২৫’ (Distinguished Alumnus Award- 2025) পুরস্কার। বুধবারই আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোরের তরফে অফিসিয়ালি এই খবর দেওয়া হয়েছে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষকে। তারপরই বৃহস্পতিবার আইআইটি কর্তৃপক্ষ প্রেস বিবৃতি আকারে এই সুখবর দিয়েছেন।

thebengalpost.net
Prof. Suman Chakraborty (Director, IIT Kharagpur):

উল্লেখ্য, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রথিতযশা অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী চলতি বছরের জুন মাসে আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার আগে ২০০২ সাল থেকেই তিনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৬ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক সম্পূর্ণ করেন কলকাতার বাসিন্দা অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী। এরপর ১৯৯৭ সালে ‘গেট’ (GATE)-এ প্রথম স্থান অধিকার করে আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোরে মাস্টার্স অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (ME) কোর্সে ভর্তি হন তিনি। সেখানেও প্রথম স্থান (গোল্ড মেডালিস্ট) অধিকার করেন উজ্জ্বল এই গবেষক তথা বিজ্ঞানী। ১৯৯৯ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক চক্রবর্তী। সেইসঙ্গেই ২০০০ সালে আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোরে গবেষণা (পিএইচডি) করার সুযোগ মেলে। ২০০২ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পদার্থের তাপীয় প্রক্রিয়াকরণের সময় কঠিন-তরল পর্যায়ের পরিবর্তনের উপর অসামান্য কাজের জন্য তাঁর গবেষণাপত্রটি ‘সেরা আন্তর্জাতিক CFD থিসিস পুরস্কার’ (Best International CFD Thesis Award) লাভ করে। পরবর্তী সময়ে দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কার ও খ্যাতি অর্জন করেছেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিজ্ঞানী।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ‘বিশ্ববন্দিত’ এই অধ্যাপক গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘ফ্লুইড মেকানিকস অ্যান্ড থার্মাল সায়েন্স’ বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডায়াগনস্টিক, সেন্সিং ও থেরাপিউটিকসের জগতে নানা আবিষ্কার করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বল্প খরচে নানা রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি পেয়েছেন ইউনেসস্কো (UNESCO)-র পৃষ্ঠপোষকতায় দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের বিশেষ পুরস্কার, ইনফোসিস পুরস্কার-২০২২, শান্তিস্বরূপ ভাটনগর সম্মান প্রভৃতি। ২০২৩ সালে পেয়েছেন উচ্চশিক্ষায় ‘জাতীয় শিক্ষক সম্মান’ (বা, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার)। ২০২৪ সালে এশিয়ার ‘সেরা ১০০’ বিজ্ঞানীর তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী। এবার আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোরের তরফেও অত্যন্ত ‘সম্মানজনক’ এই পুরস্কারে (Distinguished Alumnus Award- 2025) ভূষিত করা হবে অধ্যাপক চক্রবর্তীকে। NIRF এবং World University Ranking-এর বিচারে সার্বিকভাবে দেশের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ (আইআইটি মাদ্রাজের পর) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর। স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘বিশিষ্ট প্রাক্তন ছাত্র’ (Distinguished Alumnus Award) পুরস্কার পাওয়া যে অত্যন্ত গর্বের ও মর্যাদার, তা মানছেন আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ। ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী বলেন, “আমার নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর থেকে এই ধরনের একটি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতে পেরে আমি আপ্লুত ও গর্বিত। এই সম্মান আমাকে নিরলস বিজ্ঞান চর্চা ও নিত্যনতুন গবেষণায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে আরও উৎসাহিত করবে। এই পুরস্কার আমি আমার আইআইটি খড়্গপুর পরিবারের সাথে ভাগ করে নিতে চাই।”

thebengalpost.net
আইআইটি খড়্গপুর: