দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১২ জুন: উত্তরবঙ্গে ঝেঁপে বৃষ্টি চললেও, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এখনও দূরে। আষাঢ়স্য প্রথম দিবসের আগে হয়তো তার দেখা মিলবেনা! এর মধ্যেই জঙ্গলমহল সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই চলছে তীব্র দাবদাহ। একদিকে ৪০-৪১ ডিগ্রির অসহ্য তাপমাত্রা, তার সঙ্গে অস্বস্তিকর আর্দ্রতা। সবমিলিয়ে সকাল ১১টার পর থেকেই জীবন যায় যায় অবস্থা! এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের (পড়ুন, দক্ষিণবঙ্গের) সমস্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সময় পরিবর্তনের পরামর্শ বা উপদেশ (Advisory) দেওয়া হল শিক্ষা দফতরের তরফে। তাপপ্রবাহ চললেও, নতুন করে আর ছুটি না দিয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ‘নতুন’ শিফটে (পড়ুন মর্নিং শিফটে বা প্রাতঃবিভাগে) স্কুল চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর।

thebengalpost.net
পড়ুয়াদের স্বার্থে মর্নিং স্কুল:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুনের এই মাঝামাঝিতেও দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই চব্বিশ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতে চলছে ভয়ঙ্কর দাবদাহ। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা থাকলেও, আবহাওয়া দপ্তর নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। এই পরিস্থিতিতে তীব্র অস্বস্তিকর গরমের হাত থেকে পড়ুয়াদের মুক্তি দিতে ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার একাধিক স্কুল মর্নিং শিফটে বা প্রাতঃবিভাগে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার একই পথে হাঁটল রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরও। তাপপ্রবাহের জন্য নতুন করে আর ছুটি বাড়ানোর পথে না হেঁটে, সঠিক সময়ে সিলেবাস শেষ করার স্বার্থে সকালে স্কুল করার ‘পরামর্শ’ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।

বুধবার (১২ জুন) রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে, রাজ্যের সমস্ত উচ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সময় পরিবর্তনের (Shifting of School Timings) ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে। তবে, ওই সময়ের মধ্যে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্বের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিও প্রাতঃবিভাগে চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে ছুটির সময় কিছুটা এগিয়ে আনা হয় কিনা, তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিলেই বোঝা যাবে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ভাদুতলা বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা প্রধান শিক্ষকের একটি সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি ড. অমিতেশ চৌধুরী বুধবার বিকেলে জানান, “গরমের ছুটির পর ৩ জুন স্কুল খুললেও, পড়ুয়ারা আসছে ১০ জুন থেকে। তবে, অত্যধিক গরমের কারণে উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম। এই পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন স্কুল ইতিমধ্যেই মর্নিং সেশনে চলছে। আমরাও শিক্ষা দপ্তরের পরামর্শ মেনে আগামীকাল থেকেই মর্নিং সেশনে বা প্রাতঃবিভাগে স্কুল করব।”

thebengalpost.net
শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা: