দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ অক্টোবর: রামকৃষ্ণ মিশনের জয়জয়কারের মধ্যেও উজ্জ্বল মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল। উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের মেধাতালিকায় ‘চতুর্থ’ স্থান দখল করেছে ঐতিহ্যমণ্ডিত এই স্কুলের ছাত্র মণীষ সেনাপতি। ১৯০-এর মধ্যে ১৮৭ নম্বর (৯৮.৪২ শতাংশ) পেয়েছে মণীষ। বাংলাতে ২ এবং অঙ্কে ১ নম্বর কম পেয়েছে সে। ইংরেজি, ফিজিক্স (পদার্থবিদ্যা) এবং কেমিস্ট্রি (রসায়নে)- ফুল মার্কস পেয়েছে মণীশ। ডাক্তারির তুলনায় ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা গবেষণার পথই বেশি পছন্দের মণীষের।


মণীষের বাবা প্রত্যুষ সেনাপতি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলেরই অঙ্কের শিক্ষক। মা অনুপমা দেবী খড়্গপুর শহরের সাউথ সাইড হাইস্কুলের ফিজিক্সের শিক্ষিকা। মেদিনীপুর শহরের কেরানীটোলা সংলগ্ন মহাপাত্র কম্পাউন্ডে তাঁদের বাড়ি। বাবা-মা’র একমাত্র সন্তান মণীষ ছোট থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী। অবশ্য শুধু পড়াশোনা নয়, গানের জাদুতেও সকলকে মুগ্ধ করে মণীষ। বাজায় ক্যাশিও। তবে, উচ্চ মাধ্যমিকের গান-বাজনা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে হয়েছে বলে জানায় সে। যদিও, পড়াশোনা করতে করতেই একমনে গুনগুন করে চলে মেদিনীপুর শহরের এই মেধাবী পড়ুয়া। মণীষের বাবা প্রত্যুষ সেনাপতি বলেন, ‘ও নিজের মতো করেই পড়ে। সেরকম কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। অঙ্কটা ছোট থেকেই আমার কাছে করে। বাকি বিষয়গুলির জন্য গৃহ শিক্ষক ছিল। মাঝেমধ্যে মায়ের কাছেও ফিজিক্সটা দেখে নিত।’ মণীষ বলে, তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। আপাতত চতুর্থ সেমিস্টারেও ভালো ফল ধরে রাখাই তার লক্ষ্য। সেইসঙ্গেই ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিট (NEET) এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেন ও এডভান্সের জন্যও চলছে প্রস্তুতি। মণীষ জানায়, ‘ডাক্তারির তুলনায় ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনটাই বেশি পছন্দের। এখন দেখা যাক। সব পরীক্ষাই দেব।’ মণীষের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিমানী পড়িয়া। তিনি বলেন, ‘মণীষ আমাদের গর্বিত করেছে। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের গৌরবের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।’











