দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৭ জুলাই: গতকাল অর্থাৎ বুধবার (২৬ জুলাই)-ই সস্ত্রীক কলকাতা থেকে দুবাই উড়ে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দর তথা অভিবাসন সূত্রে এমনটাই খবর। বুধবার সকালে এমিরেটস-এর উড়ানে তিনি সস্ত্রীক দুবাই গিয়েছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। চিকিৎসার কারণেই তাঁর এই বিদেশ ভ্রমণ বলে দলীয় সূত্রে খবর। সেই সূত্রের দাবি, আমেরিকার বাল্টিমোরে চোখের চিকিৎসার কারণেই তাঁর এই বিদেশ ভ্রমণ। তবে, ১৩ আগস্টের মধ্যেই তাঁর দেশে ফেরার কথা। উল্লেখ্যে, বুধবারও কলকাতা হাইকোর্টে অভিষেকের মামলা উঠেছিল। তবে, সময়ের অভাবে মামলা শোনেননি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামী সোমবার তিনি ধার্য করেছেন। তবে, তার আগে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টেই এনিয়ে বিস্তারিত শুনানি হতে পারে।

thebengalpost.net
দুবাইয়ে অভিষেক (প্রতীকী ছবি):

গত সোমবার অভিষেকের বিদেশ ভ্রমণের প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্টে উঠলে বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল জানিয়েছিল, যদি কোনও অভিযুক্তের বিদেশে গা ঢাকা দেওয়ার আশঙ্কা না থাকে, তা হলে দেশের নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশেষত চিকিৎসাজনিত কারণে যেতে চাইলে আটকানো উচিত হবেনা! এরপরই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্ধারিত ২৬ জুলাই-ই দুবাই-যাত্রা করেন। সেখান থেকে আমেরিকা যেতে পারেন! এনিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে নানা কটাক্ষ করা হয়েছে। বিজেপি-র অন্যতম মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, “দুবাইয়ে গিয়ে তিনি ব্যাঙ্কে যেতে পারেন! তবে, বিদেশ মন্ত্রকও প্রস্তুত আছে।” শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছেন, “দেখা যাক ভাইপো ফেরেন কিনা! নাকি, শ্যালিকার মতো উধাও হয়ে যান!”

অন্যদিকে, এই প্রথম ইডি-র (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের) নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কিত নথিতে ‘সরাসরি’ উঠে এল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে তদন্তের একটি রিপোর্টে এসেছে অভিষেকের নাম। ইতিমধ্যেই, ওই রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসারের সই-করা সেই নথির ৩১ নম্বর পাতায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নামের উল্লেখ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই নথির ভিত্তিতে এখনই যে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। পুরো বিষয়টিই এখনও ‘তদন্তসাপেক্ষ’ বলে ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন। তবে, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বার্তা’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পৌঁছে দিতেন অভিষেক-ঘনিষ্ঠ সুজয় ভদ্র ওরফে কাকু (বা, কালীঘাটের কাকু বা সন্তু কাকু)। যদিও ঠিক কী বার্তা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র মানিকের কাছে পৌঁছে দিতেন, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে ইডি সূত্রে কিছু বলা হয়নি। ওই বিষয়ে নথিতেও বিশদ ব্যাখ্যা বা তথ্য দেওয়া হয়নি তদন্তকারী অফিসারের তরফে। পুরো বিষয়টিই ‘তদন্তসাপেক্ষ’ বলে জানাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।

thebengalpost.net
ইডি’র তথ্য (ছবি- সংগৃহীত):