দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ মার্চ: মেদিনীপুর পৌরসভার তৎপরতায় চলতি সপ্তাহেই শরৎপল্লী পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (শরৎপল্লী UPHC) চালু হয়েছে বিনামূল্যে এক্স-রে পরিষেবা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রতিদিন উপকৃত হচ্ছেন শতাধিক শহরবাসী। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো এক্স-রে মেশিন মেদিনীপুর পৌরসভা কাজে লাগাতে পারলেও, ব্যর্থ খড়্গপুর পৌরসভা। খড়গপুর শহরের গিরি ময়দান পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (গিরি ময়দান UPHC) গত এক বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক্স-রে মেশিন। রেল আর পৌরসভার সমন্বয়ের অভাবে তা চালু করা যায়নি বলে অভিযোগ। ফলে, পড়ে পড়ে ধুলো জমছে কোটি টাকার এই যন্ত্রে! ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় খড়গপুর শহরের ‘আমরা বামপন্থী’ সংগঠন। সংগঠনের সম্পাদক অনিল দাসের অভিযোগ, “জনগণের টাকায় কেনা হয়েছে এই এক্সরে মেশিন। কিন্তু এক বছর ধরে তাতে ধুলো জমছে। পৌরসভা আর স্বাস্থ্য দপ্তরের গাফিলতিতেই তা চালু করা যায়নি।”

যদিও, এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, “এই বিষয়ে খড়্গপুরের পৌরপ্রধানকে উদ্যোগ নিতে বলেছি। কিন্তু, উনি জানিয়েছেন জায়গাটি রেলের। পৌরসভা লিজ নিয়েছে। রেলের NOC ছাড়া বিদ্যুতের নতুন কানেকশন পাওয়া যাচ্ছেনা। আর এক্সরে মেশিন চালানোর জন্য পৃথক তিন ফেজের কানেকশন নিতে হবে। আমি আবারও একবার পৌরপ্রধানের সাথে কথা বলব।” শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ পৌরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ বলেন, “আমরা ৩-৪ বার রেলের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু, রেল এনওসি দিচ্ছে না। ফলে ১১ হাজার ভোল্টের লাইনও নেওয়া যাচ্ছে না!” পৌরপ্রধানের অভিযোগ উড়িয়ে রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম অলোক কৃষ্ণা আমাদের জানিয়েছেন, “আমি তো কোনও আবেদনপত্র পাইনি। সঠিক আবেদনপত্র দেখাতে বলুন, নিশ্চয়ই এনওসি দেওয়া হবে।” সিনিয়র ডিভিশনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পৌরপ্রধান জানিয়েছেন, “আমি শনিবারই আমাদের আধিকারিককে পাঠাব।” শেষ পর্যন্ত কি জনগণের পরিষেবায় নিয়োজিত হবে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো এক্সরে মেশিন? দেখার অপেক্ষায় খড়্গপুর শহরবাসী।