তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ মে: ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরে রাখার অজুহাত দিয়ে MRP বা মুদ্রিত মূল্যের (প্রিন্ট রেট) থেকে বেশি দামে কোল্ড ড্রিঙ্কস বা ঠান্ডা পানীয় বিক্রি করছেন দোকানদাররা। এমনই অভিযোগ এসেছিল মহকুমা প্রশাসনের কাছে। শুধু ঠান্ডা পানীয় নয়, আরো বেশ কিছু জিনিস অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার অভিযোগও আসছিল কয়েকদিন ধরে। বুধবার হঠাৎ করেই তাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে, গোডাউনে হানা দিলেন ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। নেতৃত্বে স্বয়ং মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস। মূলত দোকানদাররা এম.আর.পি (Maximum Retail Price)’র থেকে বেশি দাম নিচ্ছেন কিনা, ব্যবহৃত ওজন যন্ত্রটি লিগ্যাল মেট্রোলজি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক রিনুয়্যাল আছে কিনা‌- খতিয়ে দেখার জন্যই এই অভিযান বলে জানা যায়।

thebengalpost.net
দোকানে অভিযান:

বুধবার বিভিন্ন দোকানে বিক্রিত পণ্যের প্যাকেটের গায়ে প্যাকেজিং কমোডিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী ডিক্লারেশন আছে কিনা সেগুলি নজরদারি করলেন মহকুমাশাসক এবং দপ্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক। বেশ কয়েকটি দোকানে এমআরপি’র থেকে বেশি দাম নেওয়ার অপরাধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক আনন্দমোহন প্রামাণিক জরিমানা করলেন দোকানদারদের। সাথে সাথে মহকুমাশাসক (SDO) সুমন বিশ্বাস বিভিন্ন দোকানদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা সরকারি যে নিয়ম-কানুনগুলি আছে সেগুলি মেনে ব্যবসা। কোনো অবস্থাতেই প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত মূল্য বা প্রিন্টিং রেটের থেকে অতিরিক্ত দাম নেবেন না। নিয়মিত আপনাদের বাটখারাগুলি রিনুয়্যাল করাবেন।” ছোট ছোট ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলির মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “প্যাকেটিং আইন অনুযায়ী ঘোষণা-পত্রটি অবশ্যই রাখতে হবে। যেমন- ব্যাচ নম্বর, পণ্যের প্রস্তুতের তারিখ (manufacturing date) মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ (expiry date) প্রভৃতি পণ্যের গায়ে লেখা অবশ্যই থাকবে। অন্যথায় সরকারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”