দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ এপ্রিল: “আমি যদি অযোগ্য হই…যান বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজ নিন। আমি ম্যাথমেটিক্সের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। গোল্ড মেডালিস্ট। আমার স্ত্রী আছে। সন্তান অছে। মা নেই। অসুস্থ, বৃদ্ধ বাবা আছেন। এবার তো সবাইকে নিয়ে আমাকে মরতে হবে! তবে, এই মেদিনীপুরের মাটি ছুঁয়ে আমিও প্রতিজ্ঞা করে যাচ্ছি, মরতে যদি আমাকে হয়; এই পশ্চিমবঙ্গকে জঞ্জালমুক্ত করে দিয়েই মরব। সমাজকে সুস্থ করে তবেই মরব। বিপ্লব কাকে বলে, এই মেদিনীপুর আবার একবার দেখিয়ে দেবে!” এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট অভিজিৎ গিরি। তিনি মকরামপুরের ভদ্রকালী গান্ধী উচ্চ বিদ্যাপীঠের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অঙ্ক বিষয়ের ‘জনপ্রিয়’ শিক্ষক। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে যাওয়ার পর, শুক্রবার দুপুরে অভিজিৎ সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা মেদনীপুর শহরের কালেক্টরেট এলাকায় মানববন্ধন ও পথ অবরোধ করেন। সেখান থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকিকাদের হুঁশিয়ারি, “এই কালেক্টরেট এলাকাতেই আমাদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দিন! নাহলে স্বেচ্ছামৃত্যু দিন।”

thebengalpost.net
মেদিনীপুর শহরে প্রতিবাদ:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

তাঁরা রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার বলেও দাবি করেছেন অভিজিৎ গিরি, কৃষ্ণগোপাল চক্রবর্তী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে কোন আশার আলো দেখাতে পারেন নি বলেও দাবি অঙ্কের শিক্ষক অভিজিতের। তবে, শেষ ‘ভরসা’ যে সেই মুখ্যমন্ত্রীই তাও অকপটে দাবি করেছেন বিক্ষোভরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিজিৎ বলেন, “বিরোধীরা কে কি করল, এখন আর সেই সব না ভেবে, আপনি আমাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করুন। কিভাবে সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় আবেদন করে আইনের পথেই আমাদের চাকরিতে ফেরানো যায়, আপনি দয়া করে সেই উদ্যোগ নিন। আর নাহলে আমাদের স্বেচ্ছামৃত্য দিন!” তবে মরতে যদি হয় ‘এই সমাজকে সুস্থ করে’, ‘পশ্চিমবঙ্গকে জঞ্জালমুক্ত করেই’ তিনি মরবেন বলেও মেদিনীপুরের মাটি ছুঁয়ে আর নিজের মাথা ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেন বছর ৩৫-র তরুণ শিক্ষক অভিজিৎ।

thebengalpost.net
আন্দোলন, প্রতিবাদ শিক্ষকদের:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):