দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, বালেশ্বর, ৫ জুন: টানা ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধারকাজের তদারকি করেছেন। চোখে মুখে একরাশ হতাশা নিয়েও, নাওয়া-খাওয়া ভুলে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন! রেললাইনের মেরামতির কাজেও সর্বক্ষণ নজর রেখেছিলেন কানপুর আইআইটি (IIT Kanpur)’র প্রাক্তনী ও প্রাক্তন আইএএস (IAS) অশ্বিনী বৈষ্ণব। ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)’র হেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভয়াবহ দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টার মধ্যে অভিশপ্ত লাইনে মালগাড়ির ট্রায়াল রানের পর তাঁর ছলছল চোখে দুই হাত কপালে ঠেকিয়ে প্রণাম করার দৃশ্যও এবার ভাইরাল হল রবিবার রাতে। অশ্বিনী জানালেন, “প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক নির্দেশে, ১০০০’র বেশি রেল কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে ৫১ ঘন্টার মধ্যে আমরা ডাউন লাইন সচল করতে পেরেছি।” অবশ্য, ডাউন লাইনে ট্রায়াল রানের দেড় ঘন্টার মধ্যেই আপ লাইনেও চালানো হয় মালগাড়ি।
রবিবার (৪ জুন) রাতে খড়্গপুর ডিভিশনের বালেশ্বরের বাহানাগা বাজারের ওই অভিশপ্ত রেলপথ দিয়ে ডাউন লাইনে মালগাড়ির পরীক্ষামূলক প্রথম দৌড় (ট্রায়াল রান) হয় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। এর পর, রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২টা ৫ মিনিটে। ট্রেন চালুর পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার সকাল থেকে তিনি রয়েছেন বালেশ্বরেই। রেলমন্ত্রী বলেন, “ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন কর্মীদের কাজে গতি বাড়ানোর। ৫১ ঘণ্টার চেষ্টায় লাইন মেরামত করে আপ ডাউন লাইনে তিনটে মালগাড়ি চালানো হয়েছে। আজ (সোমবার) ৭টি গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।” দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় রেলমন্ত্রীর চোখে জল দেখা যায়। তিনি এও জানান, ” যদিও এখন এই বিষয়ে কথা বলার সময় নয়, তবে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ এবং দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জমা করার পর পুরোটা বলা সম্ভব হবে।” এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।