দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত এবং নীতি আয়োগের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ‘ছাড়পত্র’ নিয়ে আশা প্রকাশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদদের দলটি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া জানান, “জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই ধরনের প্রকল্পগুলিকে ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় নিয়ে এসে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-ও। বর্তমানে, প্রকল্প-টি কেন্দ্রের আর্থিক ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে। আশা করছি, এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র মোট প্রকল্পের ৬০ শতাংশ অর্থ বহন করবে, বাকি ৪০ শতাংশ দিতে হবে রাজ্যকে।” বৈঠক শেষে রাজ্যের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল আশা প্রকাশ করেছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ফাইলটি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। বৈঠকে কেলেঘাই-কপালেশ্বরীর বকেয়া ১৪৭ কোটি টাকার বিষয়েও দরবার করা হয়েছে। মানস রঞ্জন ভূঁইয়া বলেন, “জমির কোন সমস্যা নেই, কেন্দ্র বকেয়া অর্থ দিলেই কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।” উল্লেখ্য যে, এই প্রতিনিধি দলে ডাঃ ভূঁইয়া ছাড়াও ছিলেন- সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, কারিগরী উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ হুমায়ূন কবীর, ঘাটালের সাংসদ দেব, পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি এবং মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। এছাড়াও, ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ শুখেন্দু শেখর রায়।

thebengalpost.in
বৈঠক কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী’র সাথে :

এদিকে, রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র নায়ক। মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদের দলটি দিল্লিতে নীতি আয়োগ ও কেন্দ্রীয় জলসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য গিয়েছেন। আমরা কয়েক বছর আগে থেকেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছিলাম, যাতে বিধানসভার একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল আমাদের কমিটির একজন প্রতিনিধিসহ দিল্লিতে এ বিষয়ে দরবার করেন। অনেক দেরিতে হলেও দিল্লীতে ওই প্রতিনিধিদল পাঠানোর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই টিমে বিধানসভার অন্যান্য দলের একজন করে প্রতিনিধি সহ আমাদের কমিটির একজন প্রতিনিধি থাকলে আরো ভালো হতো। পাশাপাশি, আমরা দাবি করছি কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মঞ্জুরের সাথে সাথে রাজ্য সরকার যাতে শিলাবতী নদী সংলগ্ন এলাকায় নিকাশি সহ নদী খনন ও বাঁধ সংস্কারের উপর বর্তমান পর্যায়ে গুরুত্ব দেন।”

thebengalpost.in
বৈঠক নীতি আয়োগের সঙ্গে :