দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৭ জুলাই: নবম-দশমের ৯৫২ শিক্ষকের পর একাদশ-দ্বাদশের ৯০৭। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ‘বিতর্কিত’ (বা, বে-আইনিভাবে নিয়োগ হওয়া) শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম ও রোল নম্বর প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। বুধবার (২৬ জুলাই) নিজেদের ওয়েবসাইটে (www.westbengalssc.com) এই তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। সিবিআইয়ের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, একাদশ-দ্বাদশের যে ৯০৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার ওএমআর (OMR)’র নম্বরে কারচুপি করা হয়েছিল বা ওএমআর (OMR)- এ প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে সার্ভারের নম্বরের মিল নেই; তাঁদের নাম ও রোল নম্বরের তালিকাই প্রকাশ করা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। যদিও, ‘ওএমআর-কারচুপি’ সংক্রান্ত নবম-দশম এবং গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি’র মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায়, একাদশ-দ্বাদশের ওএমআর (OMR) প্রকাশের ক্ষেত্রে গত ২৫ জুলাই এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী মঙ্গলবার (১ আগস্ট) মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য উঠবে।

thebengalpost.net
তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন:

ততদিন পর্যন্ত বাবার নাম ও স্কুলের নাম প্রকাশের ক্ষেত্রেও স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ। তবে, বিতর্কিত ৯০৭ জন শিক্ষক সহ নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৫০০ জন শিক্ষকের OMR সহ বিশদ তথ্য মুখবন্ধ খামে (sealed cover) সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে ওই সমস্ত ‘বিতর্কিত’ শিক্ষকদের নাম ও রোল নাম্বার প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা নিমেষের মধ্যে তাঁদের বিষয় এবং স্কুল খুঁজে বের করেন। তাঁদের দাবি, বাংলা, ভূগোল, ইতিহাস, কম্পিউটার সায়েন্স সহ বেশিরভাগ বিষয়ে একেবারে প্রথম দিকে যাঁরা র‍্যাংক করেছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ জনেরই নাম বিতর্কিত শিক্ষকদের (৯০৭ জন) তালিকায় আছে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চও বিতর্কিত শিক্ষকদের OMR প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে। সেই নির্দেশেই এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তবে, নাম ও রোল নম্বর ২৮ জুলাইয়ের মধ্যেই প্রকাশ করতে বলা হয়। তাই, একথা বলাই যায় যে, সুপ্রিম নির্দেশেই কিছুটা ‘রাখঢাক’ করে বিতর্কিত শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।

অন্যদিকে, উচ্চ প্রাথমিকের (Upper Primary Recruitment) নিয়োগ প্রক্রিয়া মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি হলফনামা দিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনটাই খবর কমিশন সূত্রে। কমিশনের তরফে মেনশন করালেই মামলাটি বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠার কথা। উল্লেখ্য যে, গত প্রায় ৯ বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। ১৪ হাজারেরও বেশি ঘোষিত শূন্যপদ রয়েছে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে এসএসসি। এমনটাই দাবি কমিশনের আধিকারিকদের।