thebengalpost.net
প্রতীকী ছবি :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৮ নভেম্বর: সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় ডিজিটাল গণমাধ্যমের ফেসবুক লাইভে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রাথমিকে আরও ১৭০০ শিক্ষক নিয়োগের বার্তা দিলেও, গত ৭ বছর ধরে ঝুলে থাকা উচ্চ প্রাথমিক (Upper Primary Teacher Recruitment) এবং নতুন নবম-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কোনো দিশা দেখাতে পারলেন না। তাঁর পূর্বসূরি’র ঢংয়েই ব্রাত্য বসুও এ জন্য বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপালেন! বললেন, “আদালতে বারবার আটকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ। ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আটকে আছে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে অপদস্থ করার জন্যই মামলা করছেন বিরোধীরা। তবে আমরাও বদ্ধপরিকর, এই ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আমরা করবোই”। কিন্তু, কবে হবে সেই শিক্ষক নিয়োগ? তা স্পষ্ট করেননি ব্রাত্য! অন্যদিকে, নতুন শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও, সেই একই অজুহাত দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আপার প্রাইমারির নিয়োগ সম্পন্ন না হলে, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগও করা যাচ্ছে না”! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য থেকে চাকরিপ্রার্থীরা বুঝে গেছেন, উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন না হলে, নতুন করে SSC ‘র বিজ্ঞপ্তিও বের করা হবে না। আর, আদালতের জট কাটিয়ে বা গ্রিভেন্স হেয়ারিং সম্পন্ন করে, স্কুল সার্ভিস কমিশন কবে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ সম্পন্ন করবে, তা বোধহয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কেউ জানেন না!

thebengalpost.net
প্রতীকী ছবি :

উল্লেখ্য যে, এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চলছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের গ্রিভান্স হেয়ারিং। এখনও বেশ কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী’র হেয়ারিং বাকি আছে। তা সম্পন্ন করে, সেই তালিকা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জমা দিতে হবে। তারপর দু’টি তালিকা প্রকাশ করতে হবে। প্রথমটি ইতিমধ্যে ইন্টারভিউ দেওয়া প্রার্থীদের টেট ও একাডেমিক নম্বর সহ তালিকা এবং দ্বিতীয়টি অভিযোগকারীদের অর্থাৎ গ্রিভেন্স হেয়ারিং সম্পন্ন করা প্রার্থীদের। এইসব করে এবং মামলার জট কাটিয়ে নিয়োগ করতে করতে অন্তত নতুন বছরের (২০২২) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস হয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। ফলে, তার আগে SSC’র নতুন বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হওয়া সম্ভব নয়! আর এ নিয়েই সমাজ মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হাজার হাজার এসএসসি চাকরিপ্রার্থী। আর একটি বিষয় নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক! শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “১২০০০ শিক্ষক নিয়োগের কথা”। বাস্তবে যা সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি! তবে কি শিক্ষামন্ত্রী ভুল করে ১২ হাজার বলেছেন, নাকি সচেতন ভাবে? প্রথমটির স্বপক্ষেই যুক্তি বেশি হলেও, এনিয়েও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। অন্যদিকে, মাত্র ১৭০০ নট ইনক্লুডেড প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী! এ নিয়ে ফের আজ (৮ নভেম্বর) থেকে রাস্তায় নামছেন ২০১৪ প্রাইমারি টেট পাস প্রায় ৮ হাজার নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থী।