দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জুন: শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও একটি পি এস এ অক্সিজেন প্ল্যান্ট (Persuing Swing Adsorption Oxygen Plant) হতে চলেছে। রবিবার জায়গা চিহ্নিত করার বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শনে যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় সংস্থার সহযোগিতায় আগেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পি এস এ অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এবার শালবনীতেও একটি পি এস এ অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। এছাড়াও, জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় শালবনী সুপার স্পেশালিটি ও গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তৃতীয় ঢেউয়ের কথা ভেবে, শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিকু-পিকু (NICU ও PICU) ওয়ার্ডও গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। এছাড়াও, নতুন সুপার তথা BMOH এর উদ্যোগে, সিটি স্ক্যান, প্রসূতিদের বিশেষ রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা সহ পরিকাঠামো ও পরিষেবা আরও উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে, সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায়।

thebengalpost.in
শালবনী গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ :

প্রসঙ্গত, গত ২১ শে জুন থেকে শালবনী সুপার স্পেশালিটি ও গ্রামীণ হাসপাতালের দায়িত্ব নিয়েছেন ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস। তাঁকে সামনে রেখেই শালবনী সুপার স্পেশালিটি ও গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন তথা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। উল্লেখ্য যে, ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাসের নেতৃত্বেই মফস্বলের ঘাটাল বিদ্যাসাগর গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবা কেন্দ্র ও রাজ্যে প্রশংসিত হয়েছে ও পুরস্কৃত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, শালবনী সুপার স্পেশালিটি’র অত্যাধুনিক পরিকাঠামোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে রোগীদের পরিষেবায় নিয়োজিত করার জন্য ডাঃ বিশ্বাসের উপরই ভরসা করতে চাইছেন জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল সহ জেলার ‌স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে, দায়িত্ব নেওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই রোগী কল্যাণ বিষয়ক নানা পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার নানা ব্যবস্থা এবং সৌন্দর্যায়নের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস। তাঁকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে শালবনী পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসানের পক্ষ থেকে। ডাঃ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো খোলনলচে পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছি। জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। সিটি স্ক্যান, শিশু ও নবজাতকদের ওয়ার্ড শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছি। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছি। এছাড়াও, রোগীদের পরিষেবায় নানা উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করতে শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সহায়তায়। প্রতিটি কাজে স্থানীয় বিধায়ক, জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সাহায্য পাচ্ছি।” ইতিমধ্যে বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহের সঙ্গে হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবা নিয়ে নানা আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, সুপার মনোজিৎ বিশ্বাসের প্রতি আস্থা রেখে রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “ডাঃ বিশ্বাসের নেতৃত্বে শালবনী সুপার স্পেশালিটি তথা করোনা হাসপাতাল এবং গ্রামীণ হাসপাতাল রোগীদের সঠিক পরিষেবায় নিয়োজিত থাকবে, এটা আমাদের স্থির বিশ্বাস। ওর কাজ ইতিমধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যে প্রশংসিত হয়েছে।” জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনও সমস্ত ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাঃ বিশ্বাস।

thebengalpost.in
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিষেবা আরও উন্নত করা হবে :

এদিকে, শালবনী গ্রামীণ হাসপাতালে চলছে ভ্যাকসিনেশন। দূর-দূরান্তের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভ্যাকসিন নিতে আসছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষত ৪৫ উর্ধ্ব মানুষজন। প্রচন্ড রোদ মাথায় নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “ছত্রছায়া” গ্রুপের পক্ষ থেকে ছোলা, মুড়ি ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবার থেকে এই মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সংস্থা’র তরফে। এই পরিষেবা দেওয়ার কাজ তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থা’র পক্ষে নুতন ঘোষ। ‘ছত্রছায়া’র এই কর্মকাণ্ড’কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএমওএইচ তথা সুপার ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস।

thebengalpost.in
ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষের জন্য ছোলা, মুড়ি ও পানীয় জলের ব্যবস্থা ‘ছত্রছায়া’র উদ্যোগে :