দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ নভেম্বর: জেলার কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতিগুলি যেন হয়ে উঠছে ‘ঘুঘুর বাসা’! চাষীদের জন্য বরাদ্দ সার ঘুরপথে খোলা বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ বিক্রিত (এমআরপি/MRP) মূল্যের থেকেও বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সর্বত্র। এমনকি, কৃষকদের কোন রসিদ দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। শালবনী ব্লকের ৮ নম্বর গড়মাল অঞ্চলের জাড়া-মিরগা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে দীর্ঘদিন ধরে এমনই লুঠতরাজ চলছিল বলে এলাকার কয়েকশো কৃষকের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কৃষকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে সমবায় সমিতির ম্যানেজার নিত্যানন্দ রায় তাঁদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করতেন বলেও কৃষকদের অভিযোগ। শেষমেষ গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এলাকার কৃষকরা লিখিতভাবে অভিযোগ জানান স্থানীয় বিডিও, ব্লক সমবায় দফতর, ব্লক কৃষি দপ্তর, জেলা কৃষি দপ্তর, জেলা সমবায় সমিতি এবং জেলাশাসকের দপ্তরে। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই, জেলা কৃষি দফতরের নির্দেশে এবং মহকুমা কৃষি আধিকারিকের নেতৃত্বে শনিবার দুপুরে অভিযান চালানো হয় এই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে। ছিলেন ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরাও। অন্তত ৫০ জন কৃষকের উপস্থিতিতে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ম্যানেজার নিত্যানন্দ রায়-কে। MRP-র চেয়ে সার বিক্রি করা এবং রসিদ না দেওয়ার অভিযোগে করা হয় শোকজ!

thebengalpost.net
সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ:

একইসঙ্গে ওই ম্যানেজার-কে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ৩ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, শনিবার জেলা জুড়ে সারের কালোবাজারি’র বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৪ জন ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা। প্রায় ৫০ জনের বেশি ডিলার-কে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সহকারী অধিকর্তা দুলাল দাস অধিকারী রবিবার জানিয়েছেন, “শনিবার আমি নিজে ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, চন্দ্রকোনা প্রভৃতি এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। মহকুমার আধিকারিকরা শালবনী, কেশপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। শালবনীর জাড়া-মিরগা সমবায় সমিতির ম্যানেজারকে শোকজ করেছেন মহকুমার সহকারী কৃষি অধিকর্তা। জেলা জুড়ে নানা অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান চলবে।”

thebengalpost.net
ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি: