thebengalpost.net
সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র (মেদিনীপুর) :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ অক্টোবর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ বা টেলিমেডিসিন পরিষেবা। প্রতিটি জেলার নির্দিষ্ট কিছু সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়েছে। টেলিফোনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রেসক্রিপশন বা ওষুধের তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয় এই পরিষেবা’র মাধ্যমে। উপকৃত হন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। টানা ৪ দিন ধরে এই পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে পশ্চিম মেদিনীপুর। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোট ৩০৬ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে ১৭৭- টিতে দেওয়া হচ্ছে টেলিমেডিসিন পরিষেবা বা স্বাস্থ্য ইঙ্গিত পরিষেবা। মোট ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই পরিষেবা দিচ্ছেন। এমনটাই জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা। গত ২০ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর, এই ৪ দিনে জেলায় প্রতিদিন এই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে- ১৫৭৭, ১৭৯৭, ১৬০৭ এবং ১৭৫২ জনকে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “আমাদের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এএনএম (ANM) ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত তৎপর। ধন্যবাদ জানাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল সহ জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে সকল কর্মী ও আধিকারিকদেরও। চিকিৎসকদের সংখ্যা আর একটু বাড়াতে পারলে আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রথম স্থানে থাকতে পারব বলে আশা করছি।” অপরদিকে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর-কে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র জানিয়েছেন, “১৭৭ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন এর থেকে ভালো খবর আর কি হতে পারে! মুখ্যমন্ত্রী এই জেলার জন্য আরও ২৩৪ টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।” এই ২৩৪ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র হবে যথাক্রমে- চন্দ্রকোনা (১)- ৫, চন্দ্রকোনা (২)- ৩, দাঁতন (১)- ৭, দাঁতন (২)- ১১, দাসপুর (১)- ১১, দাসপুর (২)- ১৮, ডেবরা- ১৪, গড়বেতা (১)- ১৫, গড়বেতা (২)- ৪, গড়বেতা (৩)- ১১, ঘাটাল- ১৩, কেশিয়াড়ি- ৭, কেশপুর- ২০, খড়্গপুর (১)- ১০, খড়্গপুর (২)- ১২, মেদিনীপুর (সদর)- ১৫, মোহনপুর- ৫, নারায়ণগড়- ১৬, পিংলা- ১১, শালবনী- ৬, সবং- ২০।

thebengalpost.net
সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র (মেদিনীপুর) :

অন্যদিকে, প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে অবস্থিত শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মধ্যরাতে হল গর্ভবতী মহিলার সিজারিয়ান অপারেশন। স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অর্ঘ্যপ্রতিম দাসের নেতৃত্বে এবং ডাঃ প্রবাল কান্তী ভুঁইয়া, ডাঃ স্বর্নদীপ তরফদার ও ডাঃ শুভজিত করণের সহযোগিতায় মধ্যরাতে গর্ববতী মহিলার সিজার অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হল। হাসপাতালের সুপার তথা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদেরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। যাতে এইসব এলাকা থেকে সামান্য কারণেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ছুটতে না হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা অবিচল। তবে, বলতে দ্বিধা নেই এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। প্রতিটি বিভাগে অন্তত ২ জন করে স্থায়ী চিকিৎসক পাওয়া গেলে আমাদের আরও সুবিধা হত। এই বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়েছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হবে। আমরা শালবনীতে যত শীঘ্র সম্ভব ব্লাড ব্যাঙ্কও চালু করব। ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হলে পোস্ট সিজারিয়ান সেকসেনও শুরু হবে।” শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিকাঠামো ও চিকিৎসকের বিষয়গুলি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার বার্তা দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা এবং জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র।

thebengalpost.net
শালবনী‌ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মধ্যরাতে সিজারিয়ান অপারেশন :