দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা ও খড়্গপুর, ১৯ মার্চ: “কোনও দুর্ঘটনাই নিছক দুর্ঘটনা নয়। এর নেপথ্যে থাকে মানুষের ব্যর্থতা! এখানে নির্মাণকারীর ব্যর্থতা, উদাসীনতা স্পষ্ট। এটি খুবই দুঃখজনক যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের কোনও দোষ নেই তাও তাঁদের মারা যেতে হল। এখানে সুপারভাইজারদের ব্যর্থতা আরও বেশি। অবৈধ নির্মাণ তো আর একদিনে হয়ে যায়নি ! বারবার বলা স্বত্বেও শোনা হয়নি। সরকার চাইলেই অবৈধ নির্মানগুলি শনাক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করতে পারত।” সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঠিক এমনই মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। তিনি এও জানিয়েছিলেন, “আমি শীঘ্রই রাজভবনে নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বৈঠক করব। আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur), হাডকো, সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউ-সহ একাধিক সংস্থা ও ক্রেডাইয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।”
রাজ্যপাল এদিন এও স্পষ্ট করে দেন, উচ্চ পর্যায়ের সেই বৈঠকের ‘পরামর্শ’ সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হবে, প্রয়োজনীয় অ্যাকশনের জন্য।” নিহতদের পরিবার পিছু রাজভবনের তরফে আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, দেশের কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহ নানা বিষয়েই আইআইটি খড়্গপুরের বিজ্ঞানী তথা বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন বা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বিজ্ঞানসম্মত পথ বাতলে দেন। এবার, শহরের বৈধ বা অবৈধ বহুতলগুলির ‘স্বাস্থ্য’ (পরিকাঠামোর মান) খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রেও বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুপ্রাচীন এই প্রযুক্তিবিদ্যার পীঠস্থানের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। যদিও, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মঙ্গলবার জানিয়েছেন, কর্পোরেশনের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা ওই এলাকার একাধিক বাড়ির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে একটি রিপোর্ট দেবেন। ইতিমধ্যেই, ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা ছ’টি বহুতল চিহ্নিত করে, সেই বাড়িগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর কর্তৃপক্ষকে নোটিশ ধরানো হয়েছে বলেও কলকাতা পৌরসংস্থা সূত্রে খবর।